অনুসন্ধানের আইনগত ভিত্তি
অভিযোগ যাচাই-বাছাইয়ের মাধ্যমেই এর ওপর আইনি কার্যক্রম শুরু করা হয়। দুদক আইন, ২০০৪ এর ১৭ (ক) ধারা অনুসারে কমিশনের তফসিলভুক্ত অপরাধসংক্রান্ত সুনির্দিষ্ট অভিযোগের অনুসন্ধান পরিচালনা কমিশনের অন্যতম দায়িত্ব। অনুসন্ধান হচ্ছে, প্রাপ্ত অভিযোগের প্রাথমিক সত্যতা উদ্ঘাটনের লক্ষ্যে গৃহীত কার্যক্রম। দুদক আইনের ১৯ ও ২০ ধারায় ও তদন্ত অনুসন্ধান কার্যক্রমে দুদক বিশেষভাবে ক্ষমতাপ্রাপ্ত। সে লক্ষ্যে দুদক তিনটি অনুবিভাগ (তদন্ত অনুবিভাগ, বিশেষ তদন্ত অনুবিভাগ এবং মানিলন্ডারিং ও পরিদর্শন অনুবিভাগ)-এর মাধ্যমে অনুসন্ধানসংশ্লিষ্ট কার্যক্রম পরিচালনা করছে।
তদন্ত অনুবিভাগের শাখা ও অধিশাখাসমূহ ৮ (আট)টি বিভাগীয় কার্যালয় ও ৩৬ (ছত্রিশ)টি সমন্বিত জেলা কার্যালয়-কর্তৃক পরিচালিত মাঠ পর্যায়ের অনুসন্ধান কাজ তত্ত্বাবধান করে।
অনুসন্ধানের জন্য নির্ধারিত বিষয়গুলোর মধ্যে বিশেষায়িত ক্ষেত্রগুলোর এখতিয়ার কমিশনের বিশেষ তদন্ত অনুবিভাগের। এর আওতাধীন বিষয় হচ্ছে: প্রাতিষ্ঠানিক দুর্নীতির অনুসন্ধান, ফাঁদ পেতে দুর্নীতিপরায়ণ ব্যক্তিকে গ্রেফতার, বৃহদাকারের আর্থিক দুর্নীতি এবং অন্যান্য বিশেষায়িত কার্যক্রম।
মানিলন্ডারিং অনুবিভাগের কাজ হচ্ছে বিদ্যমান মানিলন্ডারিং আইনে কেবল ঘুষ ও দুর্নীতিসম্পৃক্ত মানিলন্ডারিংয়ের অপরাসমূহের অনুসন্ধান ও তদন্ত করা। এখানে উল্লেখ্য যে, এই আইনের অবশিষ্ট ২৬ টি সম্পৃক্ত অপরাধসংশ্লিষ্ট মানিলন্ডারিংয়ের অনুসন্ধান ও তদন্ত জাতীয় রাজস্ব বোর্ড, পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)-সহ অন্যান্য সংস্থাসমূহের মাধ্যমে পরিচালিত হচ্ছে।
Planning and Implementation: Cabinet Division, A2I, BCC, DoICT and BASIS