দুর্নীতি দমন কমিশন একজন চেয়ারম্যান ও দুইজন কমিশনারের সমন্বয়ে গঠিত। কমিশনের বর্তমান চেয়ারম্যান সরকারের সাবেক সিনিয়র সচিব জনাব মোহাম্মদ মঈনউদ্দীন আবদুল্লাহ এবং কমিশনারদ্বয় হলেন সাবেক জেলা জজ জনাব মো. জহুরুল হক এবং সরকারের সাবেক সচিব জনাব মোছাঃ আছিয়া খাতুন। মহামান্য রাষ্ট্রপতি তিনজন কমিশনারের মধ্যে হতে একজনকে চেয়ারম্যান পদে নিয়োগ করে থাকেন। চেয়ারম্যান কমিশনের সকল সভার সভাপতিত্ব করেন এবং তাঁর অনুপস্থিতিতে চেয়ারম্যান কর্তৃক মনোনীত কোনো কমিশনার সভায় সভাপতিত্ব করেন।চেয়ারম্যানসহ দুই জন কমিশনারের উপস্থিতিতে সভার কোরাম গঠিত হয়। তারা দুদক আইন ২০০৪ এর ৭ ধারা অনুযায়ী গঠিত বাছাই কমিটির সুপারিশক্রমে রাষ্ট্রপতি কর্তৃক ৫ (পাঁচ) বছর মেয়াদের জন্য নিয়োগ প্রাপ্ত হন। কমিশন আইনে কমিশনারদের মেয়াদকালের নিশ্চয়তা বিধান করে বলা হয়েছে, “সুপ্রীম কোর্টের একজন বিচারক যেরূপ কারণ ও পদ্ধতিতে অপসারিত হইতে পারেন, সেইরূপ কারণ ও পদ্ধতি ব্যতীত কোন কমিশনারকে অপসারণ করা যাইবে না”। এছাড়া, মেয়াদ শেষে তারা পুনর্নিযুক্ত হওয়ার যোগ্য হবেন না। দুদকের চেয়ারম্যান ও কমিশনার যথাক্রমে বাংলাদেশ সুপ্রীম কোর্টের আপীল বিভাগ ও হাইকোর্ট বিভাগের বিচারকের সমান মর্যাদা ও সুযোগ-সুবিধা ভোগ করেন।
দুর্নীতি দমন কমিশন একটি সংবিধিবদ্ধ সংস্থা। এ কমিশন তিনজন কমিশনারের সমন্বয়ে গঠিত হয়। কমিশনার পদে নিয়োগের জন্যে দুর্নীতি দমন কমিশন আইন, ২০০৪ অনুযায়ী সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের একজন বিচারপতির নেতৃত্বে পাঁচ সদস্যের সমন্বয়ে একটি বাছাই কমিটি গঠন করা হয়। এই কমিটির সুপারিশক্রমে মহামান্য রাষ্ট্রপতি কর্তৃক কমিশনারগণ পূর্ণকালীন সময়ের জন্যে স্ব-স্ব পদে পাঁচ বৎসরের জন্যে নিয়োগপ্রাপ্ত হন। মেয়াদ অতিবাহিত হওয়ার পর কমিশনারগণ পুনঃনিয়োগের যোগ্য হন না।
মহামান্য রাষ্ট্রপতি তিনজন কমিশনারের মধ্য হতে একজনকে চেয়ারম্যান পদে নিয়োগ করে থাকেন। চেয়ারম্যান কমিশনের প্রধান নির্বাহী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। আইন অনুযায়ী কমিশনের সকল সভা চেয়ারম্যান কর্তৃক নির্ধারিত স্থান ও সময়ে অনুষ্ঠিত হয়। চেয়ারম্যান কমিশনের সকল সভায় সভাপতিত্ব করেন এবং তাঁর অনুপস্থিতিতে চেয়ারম্যান কর্তৃক মনোনীত কোনো কমিশনার সভায়
সভাপতিত্ব করেন। চেয়ারম্যানসহ দুইজন কমিশনারের উপস্থিতিতে সভার কোরাম গঠিত হয়।
কর্মাবসানের পর কমিশনারগণ গণপ্রজাতন্ত্রের কোনো লাভজনক পদে নিয়োগলাভের যোগ্য বিবেচিত হন না। সুপ্রিম কোর্টের একজন বিচারককে যে সকল কারণ ও পদ্ধতিতে অপসারণ করা যায়, ঠিক একই কারণ ও পদ্ধতি ব্যতীত কোনো কমিশনারকে অপসারণ করা যায় না।
দেশে দুর্নীতি এবং দুর্নীতিমূলক কার্য প্রতিরোধের লক্ষ্যে দুর্নীতি দমন কমিশন আইন, ২০০৪ (২০০৪ সালের ৫ নং আইন) অনুযায়ী দুর্নীতি এবং অন্যান্য সুনির্দিষ্ট অপরাধের অনুসন্ধান, তদন্ত ও প্রসিকিউটিং এজেন্সি হিসেবে দায়িত্ব পালন করা।
"সমাজের সর্বস্তরে প্রবহমান একটি শক্তিশালী দুর্নীতিবিরোধী সংস্কৃতির চর্চা এবং এর প্রসার সুনিশ্চিত করা"।
"অব্যাহতভাবে দুর্নীতির দমন, নিয়ন্ত্রণ, প্রতিরোধ এবং উত্তম চর্চার বিকাশ সাধন করা"।
কমিশনের তিনটি কৌশলগত লক্ষ্য
উপরিউক্ত কৌশলগত লক্ষ্যগুলো চারটি সহায়ক লক্ষ্য দ্বারা সমর্থিত:
Planning and Implementation: Cabinet Division, A2I, BCC, DoICT and BASIS